কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ দুই মামলায় কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া দুই মামলায় কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এবং কুমারখালী আমলি আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ পৃথক এই আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ও আদালত পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া মডেল থানা ও কুমারখালী থানায় দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বেলা পৌনে দুইটার দিকে সেলিম আলতাফকে কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে বেলা দুইটার দিকে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ইসলামিয়া কলেজ এলাকায় আন্দোলকারীদের গুলি করে ও এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর আহত আন্দোলনকারী শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় মোট ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ নম্বর আসামি সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ।
এদিকে গত ২৪ আগস্ট আহত আন্দোলনকারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসাদুজ্জামান আলী খান বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে কুমারখালীর এলঙ্গী এলাকায় ছাত্র–জনতার আনন্দমিছিলে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা ও মারপিট করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় মামলায় মোট ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলার ১৮ নম্বর আসামি সেলিম আলতাফ।
কুষ্টিয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম বলেন, সেলিম আলতাফকে আদালতে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকা থেকে সেলিম আলতাফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় একাধিক মামলা রয়েছে।