মির্জাপুরে সাড়ে তিন বছরেই নষ্ট বেশির ভাগ সড়কবাতি

বাতিগুলো স্থাপনের কিছুদিন পরই নষ্ট হতে থাকে। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টায় মির্জাপুর উপজেলার লৌহজং সেতুর ওপরেছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের পোষ্টকামুরী গ্রামের চড়পাড়া থেকে দেওহাটা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে থাকা ১৯২টি সড়কবাতির মধ্যে ১৩২টি তিন মাস ধরে নষ্ট হয়ে আছে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের (পুরোনো সড়ক) ওই অংশে নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা চলাচল করছে।

মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) উপবিভাগীয় কার্যালয় সূত্রমতে, ২০২০ সালের জুন মাসে মহাসড়কের ওই অংশে সওজ থেকে সড়কবাতি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যশোরের মাইন উদ্দিন বাঁশি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করে। প্রতিটি বাতি ৩১ হাজার ২৫০ টাকা করে ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। ২০২১ সালের প্রথম দিকে কাজ শেষ হয়। বাতিগুলো স্থাপনের কিছুদিন পরই নষ্ট হতে থাকে। প্রথম অবস্থায় কয়েকটি নষ্ট বাতি প্রতিস্থাপন করা হলেও একপর্যায়ে তা বন্ধ করে দেয় সওজ। এরপর ধীরে ধীরে বেশির ভাগ বাতিই নষ্ট হয়ে যায়। তিন মাস ধরে ১৩২টি বাতিই নষ্ট হয়ে আছে।

২০২০ সালের জুন মাসে মহাসড়কের ওই অংশে সওজ থেকে সড়কবাতি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০২১ সালের প্রথম দিকে কাজ শেষ হয়। প্রতিটি বাতি ৩১ হাজার ২৫০ টাকা করে ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। বাতিগুলো স্থাপনের কিছুদিন পরই নষ্ট হতে থাকে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর সড়কের ওই অংশ ঘুরে দেখা গেছে, নষ্ট হওয়া সড়কবাতির স্থানগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন। কিছু বাতি মিটিমিটি আলো দিচ্ছে। বারখালী খালের ওপর নির্মিত লৌহজং সেতুর দুই পাশে ও সেতুর ওপরে থাকা ২০টি সড়কবাতিই বন্ধ হয়ে আছে। পোষ্টকামুরী সেতুর ওপরও কোনো বাতি জ্বলছে না। এর মধ্যেই স্থানীয় লোকজন রাতের আঁধারে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সৃজনের (মির্জাপুর) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কের ওই অংশে যখন বাতিগুলো স্থাপিত হয়েছিল তখন পুরো মির্জাপুরই যেন আলোকিত হয়ে উঠেছিল। এখন সড়কবাতির যে অবস্থা তাতে মনে হয় পরিবেশ ভুতুড়ে হয়ে উঠেছে।

ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘রাস্তার বাতি যখন ছিল, তখন ফুরফুরা মন নিয়া রিকশা চালাইতাম। অহন ব্রিজের ওপর আইলে ভয় করে। কহন যে কী অয়।’

রাস্তার বাতি যখন ছিল, তখন ফুরফুরা মন নিয়া রিকশা চালাইতাম। অহন ব্রিজের ওপর আইলে ভয় করে। কহন যে কী অয়।
ইকবাল হোসেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক

মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান উদ্দিন বলেন, ‘রাতের বেলা নিরাপত্তার জন্য সড়কবাতিগুলো খুবই উপকারী ছিল। শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার পর অভিভাবকদের সঙ্গে বাসার বাইরে বের হতো, হাঁটাহাঁটি করত।’

মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শামীম হোসাইন মুঠোফোনে বলেন, ‘সড়কবাতিগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ হবে।’