জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝাড়ুমিছিল

করিমগঞ্জে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল। বুধবার করিমগঞ্জ পৌর সদর এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝাড়ুমিছিল করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আজ বুধবার বিকেলে করিমগঞ্জ পৌর সদর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে পৌর বিএনপি।

বিএনপির নেতা-কর্মীসহ কয়েক শ লোক ঝাড়ু ও জুতা হাতে করিমগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠ থেকে মিছিল নিয়ে বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন। সমাবেশে বক্তারা মুজিবুল হককে আওয়ামী লীগের দোসর, শেখ হাসিনার সহযোগী ও জাতীয় বেইমান আখ্যা দিয়ে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পাশাপাশি তাঁর সব সম্পদ জব্দের দাবি জানান। এ সময় সাবেক আইজিপি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হকের বিচারের দাবি জানানো হয়।

এ সময় জেলা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, করিমগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি আশরাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হারুন সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মুজিবুল হক একজন সুবিধাবাদী। যেখানেই হালুয়া–রুটি, সেখানেই তিনি। এমন কোনো দল নেই তিনি করেননি। সব দল থেকেই সুবিধা নিয়েছেন। এমনকি হাসিনার ভোটারবিহীন নির্বাচনে অন্যতম দোসর ছিলেন এই মুজিবুল হক। আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতার মতো তাঁরও বিচার হওয়া উচিত।’

আশরাফ হোসেন বলেন, ‘খুনি শেখ হাসিনার সহযোগী মুজিবুল হক ও সানাউল হককে করিমগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টি অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হন মুজিবুল হক। ২০১৮ সালে বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি আবারও সংসদ সদস্য হন। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও জাপা অংশ নেয়। মুজিবুল হক কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।

বিএনপির নেতা–কর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে জাপা সহযোগিতা করেছে। এর অন্যতম কারিগর দলটির বর্তমান মহাসচিব মুজিবুল হক। এ জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মুজিবুল হকের শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।