হবিগঞ্জে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মারধরের অভিযোগ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে সুমনের কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এ ঘটে।
হামলা ও মারধরের ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাঁচ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সোহেল (৩০) নামে গুরুতর আহত এক ব্যক্তিকে আজ শুক্রবার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সায়েদুল হক হামলার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করলেও তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। তাঁরা দুজন ছাড়াও আসনে আরও ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, গতকাল রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হকের কর্মী-সমর্থকেরা মাইকযোগে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তাঁদের প্রচারণার মাইক উপজেলা সদরের মধ্যবাজার এলাকায় গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক তাঁদের গতিরোধ করে এলাকা থেকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে নৌকার সমর্থকেরা তাঁদের মারধর শুরু করেন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাঁচজন আহত হন।
গুরুতর আহত চুনারুঘাট উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের সোহেল মিয়াকে (৩০) প্রথমে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আজ সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোহেলের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক বলেন, ‘আমার প্রচারের গাড়ি মধ্যবাজার এলাকায় গেলে নৌকার সমর্থকেরা বাধা দেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। বিষয়টি তিনি পুলিশ ও নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব আনোয়ার আলী বলেন, দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সাধারণ কথাবার্তা হয়েছে বলে শুনেছেন। হামলার ঘটনা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নৌকার সমর্থকদের সব সময়ই সংঘাত ও ঝামেলা এড়িয়ে চলতে বলেছি।’
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় প্রথম আলোকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা বা মারধরের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।