লোহাগড়ায় বিএনপির নেতা নির্বাচন করতে শনিবার ব্যালটে ভোট
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির শীর্ষ তিন পদে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হয়ে নেতা নির্বাচন করা হবে। আগামীকাল শনিবার লোহাগড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে এই ভোট হবে। বিএনপির নেতারা জানান, ১৫ বছর পর দ্বিবার্ষিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোট হচ্ছে।
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, নড়াইল জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদকে প্রধান করে চার সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়েছে। গোলাম মোহাম্মদ বলেন, বিএনপি দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল। প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হলে কারও কোনো ক্ষোভ বা কষ্ট থাকবে না, আবার তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি চাঙা হবে।
নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট হয়ে ওই তিন পদে নেতা নির্বাচিত করা হবে। পরে তাঁরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন। উপজেলা বিএনপির ভোটার সংখ্যা ৮৫২। ১২টি ইউনিয়নের ৭১ সদস্য কমিটির সবাই ভোটার। পৌর বিএনপির ভোটার সংখ্যা ৪৫৯। ভোটের জন্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছয়জন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চারজন করে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দুজন প্রার্থী হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচন ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। চলছে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হয়েছে পোস্টার-ব্যানার। গত কয়েক দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা বলেন, এত দিন বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় যাঁরা মাঠে ছিলেন, হামলা–মামলার শিকার হয়েছেন, বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের পাশে ছিলেন, তাঁদেরই নেতা নির্বাচিত করতে ভোট দেবেন। কেউ বলছেন, যাঁদের ভোট দিলে দল শক্তিশালী হবে, তাঁদেরই বেছে নেবেন ভোটাররা। আবার কেউ কেউ বলছেন, তুলনামূলক ভদ্র ও বিনয়ী নেতাদের ভোট দেবেন।
বর্তমানে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও এ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. টিপু সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, নেতা নির্বাচিত করতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বেছে নেওয়া হয়েছে। এটি ভালো উদ্যোগ। এতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। তাঁরা মূল্যায়ন পাচ্ছেন। যেন ভোট উৎসব সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে দলে ও রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ফিরে আসুক। মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক।