শামীম মোল্লা হত্যা মামলার এজাহারে আসামিদের ক্রম বদল, তদন্তে কমিটি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলার এজাহারে আসামিদের ক্রম বদলের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহীকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে পাঠানো অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শামীম মোল্লা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিক তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। প্রাথমিকভাবে যাদের বহিষ্কার করা হয়, তাদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ক্রমিকভাবে বহিষ্কারের তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ওই বহিষ্কারাদেশের তালিকা অনুযায়ী মামলা করতে নির্দেশও দেন। তবে মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা–১) সুদীপ্ত শাহীন মামলা দায়েরের সময় বহিষ্কারাদেশে ৮ নম্বরে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক আহসান লাবিবের নাম ১ নম্বরে নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর আজ ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন।

আরও পড়ুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরপত্তা-১) সুদীপ্ত শাহীনের মামলা করার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হয়। সুদীপ্ত শাহীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটানোর অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, একই সঙ্গে শামীম মোল্লার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, নির্লিপ্ততা ও অবহেলা পরিলক্ষিত হওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে দায়িত্ব প্রদান করা হলো। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল হালিম, ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ভূইয়া, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান ভূইয়া এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি) লুৎফর রহমান।