দিনাজপুরে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৮৪ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করেছেন দিনাজপুর সদর উপজেলার উত্তর শেখপুরা গ্রামের রাশেদা খাতুন (৫৫)। তাঁর ছেলে আশরাফুল আলম ওই হামলার ঘটনায় শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলির স্প্রিন্টার নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হুসাইন, বিরল পৌরসভার সাবেক মেয়র সবুজার সিদ্দিক প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আশরাফুল আলম (৩৪) অংশ নেন। দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে দিনাজপুর সদর হাসপাতাল মোড়ে এলে আওয়ামী লীগ নেতাদের সুপরিকল্পিত ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় নেতা-কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। এতে শত শত ছাত্র-জনতা গুরুতর জখম হন। এর মধ্যে আশরাফুল আলমের শরীরের বিভিন্ন অংশ গুলিবিদ্ধ হয়। তার ডান চোখ গুলিবিদ্ধ হয়ে চিরতরের জন্য অন্ধ হয়ে যায়। তাঁকে প্রথমে দিনাজপুর সদর হাসপাতাল ও পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ঢাকার মালিবাগে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আশরাফুল আলম।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, গুরুতর জখম ও সহায়তার অপরাধের ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।