সিলেটে পাথর চুরির অভিযোগে দশম শ্রেণির ছাত্র গ্রেপ্তার
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর থেকে অবৈধভাবে পাথর চুরির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক, সে দশম শ্রেণির নিয়মিত ছাত্র। তবে ওই ছাত্রকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
গত সোমবার রাতে সিলেটের হাইটেক পার্ক এলাকা থেকে তিনজনকে আটকের পর পাথর পরিবহন করা ট্রাকসহ থানায় নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল গ্রামের মো. আবদুল্লাহ মিয়া (৩৮), গৌরীনগর গ্রামের আবুল হোসেন (৩২) ও খাগাইল এলাকার এনামুল হক (১৯)।
এর মধ্যে এনামুল হক কোম্পানীগঞ্জের দলইরগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির নিয়মিত ছাত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহের আলী বলেন, এনামুলের বয়স ১৭ বছর। তার জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১ অক্টোবর। তাকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার একটি দল থানা এলাকার হাইটেক এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসিয়েছিল। এ সময় কোম্পানীগঞ্জ থেকে সিলেটগামী একটি ট্রাক পুলিশের তল্লাশিচৌকি দেখে থেমে যায়। একপর্যায়ে ট্রাক থেকে নেমে তিনজন পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের আটক করা হয়। পরে পাথরবোঝাই ট্রাকটি জব্দ করা হয়। পাথরগুলো ভোলাগঞ্জ থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করে পরিবহন করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সোমবার রাতেই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলায় সবাইকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তিনজনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কে ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে অবরোধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকেরা। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে অনেক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিবহন শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে কথা বললে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন পরিবহন শ্রমিকেরা।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান বলেন, অভিযুক্ত এনামুল হকের বয়স ১৯ বছর বলে মনে হয়েছে। এ জন্য তাঁর বয়স ১৯ উল্লেখ করা হয়েছে। এনামুল ট্রাকচালকের সহকারী। চোরাই পাথর পরিবহন করা ট্রাক থেকে পালানোর সময় তাঁদের আটক করা হয়েছে। নাবালক হয়ে থাকলে তদন্তের পর আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।