শেরপুরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫, সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর-আগুন
শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক দফা দাবিতে প্রথম দিনে (গতকাল রোববার) সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ। এর জেরে আজ সোমবার দুপুরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করেছেন হামলাকারীরা।
নিহত পাঁচজন হলেন আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শহরের বাগরাকসা এলাকার তুষার (২৪), আইটি উদ্যোক্তা সদর উপজেলার চৈতনখিলা এলাকার মাহবুব আলম (২৫), ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া এলাকার সৌরভ (২২), শ্রীবরদী উপজেলার রূপারপাড়া এলাকার সবুজ হাসান (২০) ও জেলা সদরের মিম আক্তার (১৮)। তাঁদের মধ্যে যৌথ বাহিনীর টহল চলাকালে গাড়ি চাপায় দুজন ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজন নিহত হন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে শেরপুর শহরের তিনানী বাজার কলেজ মোড় এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা। এরপর আজ দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলসহকারে প্রথমে শহরের গোপালবাড়ী এলাকায় অবস্থিত জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বাসভবনের প্রধান ফটক ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা। পরে তাঁরা ডিসির বাসভবন–সংলগ্ন অফিসার্স কোয়ার্টারে গিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় অবস্থিত শেরপুর সদর থানা ভবনে গিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে কাগজপত্র ও আসবাব পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা শহরের মাধবপুর এলাকায় অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক হুইপ মো. আতিউর রহমানের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ভবনটিতে সোনালী ব্যাংকের শেরপুর শাখা, আঞ্চলিক কার্যালয়, আয়কর কার্যালয় ও অগ্রণী ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় অবস্থিত। সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হায়দার আলীর চৈতনখিলা এলাকার বাসভবনেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময়ে জেলা শহরজুড়ে সেনাবাহিনী টহল দিতে দেখা গেছে। ওই সময়ে শহরের সব দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।