রংপুরে কোরবানির হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়, ইজারাদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা
রংপুরে কোরবানির পশুর হাটে নির্ধারিত হাসিলের (খাজনা) অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় এক ইজারাদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মহানগরীর বুড়িরহাট হাটে এ অভিযান চালানো হয়। ওই হাটের ইজারাদার শরিফুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মাহমুদ হাসান মৃধা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, হাটে প্রতি গরু বিক্রিতে ক্রেতার কাছ থেকে ইজারাদার হাসিল নেওয়ার বিধিতে রয়েছে ৬০০ টাকা। এই হাসিলের ৬০০ টাকা কেবল ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়ার নিয়ম। সেখানে বুড়িরহাট কোরবানির পশুর হাটে হাসিল নেওয়া হচ্ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা। এই টাকা ক্রেতার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। একই সঙ্গে এই হাটে প্রতি ছাগল বিক্রিতে ক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা হাসিল নেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে নেওয়া হচ্ছিল তিন গুণের বেশি ৭০০ টাকা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধিকে অতিরিক্ত হাসিল নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ইজারাদার শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি এসে অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বুড়িরহাটে মাইকিং করে আমাদের পক্ষ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উদ্দেশে প্রচারণা চালানো হয়েছে। প্রতি গরুর হাসিল ৬০০ টাকা এবং ছাগলের হাসিল ২০০ টাকা হবে। এর বেশি কেউ হাসিল দেবেন না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বুড়িরহাটে মাইকিং করে আমাদের পক্ষ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উদ্দেশে প্রচারণা চালানো হয়েছে। প্রতি গরুর হাসিল ৬০০ টাকা এবং ছাগলের হাসিল ২০০ টাকা হবে। এর বেশি কেউ হাসিল দেবেন না। অভিযান এবং এমন প্রচারণার পর ক্রেতাদের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।’
এদিকে এই হাটে কোরবানির গরু কিনতে এসেছিলেন শহরের কেরানীপাড়ার বাসিন্দা তৌফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গরু কিনতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এমন অভিযানে জানতে পারলাম, গরুর হাসিল আসলে কত। আমরা সাধারণ ক্রেতারা কিছুই জানতাম না।’