হামলায় রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ২
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকার পাশে হজোর মোড়ে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক (সিকিউরিটি) জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে গতকাল রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁরা হলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শুভ, মো. সাকিব ও মিলন রেজা। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় শাহাবুদ্দিন ও জুয়েল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রকি ও শুভ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য পদ্মা আবাসিকের হজোর মোড়ে যান। কেনাকাটা শেষে ৫০০ টাকার নোট দিলে দোকানদার শাহাবুদ্দিন জানান তাঁর কাছে খুচরা নেই। তখন শিক্ষার্থীরা আরও জিনিস কিনে টাকাটা ভাংতি করতে বলেন। তখন দোকানদার খারাপ আচরণ করেন। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়। শুভর মাথায় স্থানীয় একজন বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। রকিকেও মারধর করা হয়। পরে তাঁরা সহপাঠীদের মুঠোফোনে খবর দেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরাও উপস্থিত হন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে বাজারের বণিক সমিতির সঙ্গে কথা বলছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় দ্বিতীয় দফায় হামলা করা হয় শিক্ষার্থীদের ওপর। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর সেখানে উপস্থিত হন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনা শোনামাত্রই তিনিসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক সেখানে যান। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। তাঁদের সামনেই ওই দোকানদারসহ আরও অনেকে দ্বিতীয়বার হামলা করেন। এ ঘটনায় রাতেই মামলা করা হয়েছে। আহত তিন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রাজশাহী নগরের চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, রুয়েট প্রশাসন থেকে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।