বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে, অষ্টম দিনেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষকদের কর্মবিরতি আজ বুধবার টানা অষ্টম দিনের মতো চলায় ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ আছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনার সংশোধন ও ক্যাম্পাসের ভেতরে হাই–টেক পার্ক স্থাপন না করার দাবিতে গত বুধবার থেকে এই কর্মবিরতি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাইদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের অনেক বন্ধু আছে, যারা ক্যাম্পাস থেকে তিন–চার কিলোমিটার দূরে গোপালগঞ্জে বাসা ভাড়া করে থাকে। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সন্নিকটে। সে জন্য তাঁদের প্রতিদিন ক্যাম্পাসে আসতে হয়। কিন্তু আজ আট দিন হলো কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। সব অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অভিন্ন নীতিমালা নির্দেশিকাটি হুবহু গ্রহণ করার ব্যাপারে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও রিজেন্ট বোর্ড তা অনুমোদন করেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্প জমিতে আইসিটি পার্ক স্থাপনে আপত্তি শিক্ষকদের। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকেরা।
শিক্ষক সমিতির ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালায় শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতির বিভিন্ন শর্তের অস্পষ্টতা ও অসামঞ্জস্য থাকায় এবং অভিন্ন নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটির কোনো সুপারিশ গ্রহণ না করায় বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষকেরা জরুরি সাধারণ সভায় নীতিমালাটি প্রত্যাখ্যান করেন।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সালেহ প্রথম আলোকে বলেন, ইউজিসি যে নির্দেশিকা দিয়েছে, সেখানে কিছু অসংগতি রয়েছে। এগুলো সংশোধন করার পক্ষে তাঁরা। আইটি পার্ক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আইটি পার্ক নির্মাণ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রতিনিয়ত বহিরাগতরা আসবেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঝামেলা হবে। আইটি পার্কের বিপক্ষে নই। নতুন জায়গা অধিগ্রহণ করে এখানে আইটি পার্ক নির্মাণ করা হোক।’