বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সোবহান আলী (৫০) নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে পৃথক একটি ধারায় আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সোবহান আলী বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সোনাকানিয়া গ্রামের মৃত সোলায়মান আলী প্রামাণিকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি পদ্ম কুমার রায় বলেন, ১০ বছর আগের এ হত্যার ঘটনায় মামলার পর থেকে আসামি কারাগারে রয়েছেন। তিনি তাঁর স্ত্রী সুলতানা রুমীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন। আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
সুলতানাকে প্রথমে শ্বাসরোধ এবং পরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন সোবহান আলী।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, নিহত সুলতানা রুমীর বাবার বাড়ি সোনাতলা উপজেলার নূরার পটোল গ্রামে। সোবহান আলীর সঙ্গে বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এনজিওর কিস্তি শোধ নিয়ে ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে সুলতানাকে প্রথমে শ্বাসরোধ এবং পরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন সোবহান আলী।
এ ঘটনায় সুলতানার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মামলার একমাত্র আসামি সোবহান আলীকে গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে সদর থানা-পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, দুই পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে আদালত আজ রায় দেন।