ফরিদপুর জয় করেছি, দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে খেলব, সারা দেশ জয় করব: নিক্সন চৌধুরী

ভাঙ্গায় জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-চরভদ্রাসন-সদরপুর) আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গঙ্গাধরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-চরভদ্রাসন-সদরপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, ‘২০১৪ সালে কয়েকটি পরিবার ও একজন ব্যক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। ২০১৮ সালে আমার যোগ্যতার মূল্যায়ন করেছেন। জেলা পরিষদে ফরিদপুর জেলা জয় করেছি। আগে ফরিদপুর জেলার তিন উপজেলা নিয়ে খেলেছি, জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা নিয়ে খেলেছি। আগামীতে দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে খেলব। জেলা-উপজেলা নয়, সারা দেশ জয় করব।’

আজ শুক্রবার বিকেলে ভাঙ্গার কুমার নদের ওপর নির্মিত বাবলাতলা-ভাঙ্গা এ আর ভূইয়া সেতুর উদ্বোধন শেষে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়নের গঙ্গাধরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নিক্সন চৌধুরী।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ দিয়ে প্রার্থী দিয়েছিলাম। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও আমার প্রার্থীকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমার ইমান শক্ত, আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আগামীতে নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দেবেন। আর যদি নৌকা না দেন, আপনারা যা চাইবেন তা–ই হবে। আপনারা যদি চান আমি নির্বাচন করি, তাহলে আমি নির্বাচন করব।’

এ সময় উপস্থিত জনতা ‘নির্বাচন করবেন’, ‘নির্বাচন করবেন’ ধ্বনি তোলেন। তখন নিক্সন চৌধুরী সমবেত মানুষকে উৎসাহ দিয়ে বলেন, ‘আরও জোরে বলেন, আরও জোরে বলেন, যাতে নেত্রী এসব কথা শুনতে পারেন।’

সাহাদাত হোসেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সারা জেলায় ভাঙ্গার সম্মান বেড়েছে মন্তব্য করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘অথচ ওই নির্বাচনের আগে ৯ উপজেলা ও ৬ পৌরসভার কত বাঘ-ভাল্লুক হুংকার দিয়েছিল, কাজী জাফরউল্লা বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু হুমকি, বিরোধিতা করে কোনো লাভ হয় নাই।’

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্ল্যার সমালোচনা করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘করোনার সময় আমি প্রতিদিন নিজে গাড়ি নিয়ে এলাকাবাসীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আরেক নেতা ঢাকার গুলশানের বাসায় বসে ছিলেন, দরজা-জানালাও খোলেন নাই। এ জন্য তাঁর (কাজী জাফরউল্যা) যা ব্যবস্থা করতে হয়, আগামীতে আপনারা করবেন।’

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য আশিক ইকবাল, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোবহান মুন্সী, ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর মুন্সী, সাবেক চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা প্রমুখ বক্তব্য দেন।