লক্ষ্মীপুরে বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩
লক্ষ্মীপুর বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাঁদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিন লাইফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. হৃদয় (১৯), মো. ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)। হৃদয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজীবপুর গ্রামের, ইউসুফ ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্ছানগর গ্রামের এবং সুজন সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা ক্ল্যাসিক নামের একটি বাস গ্যাস নিতে গতকাল রাতে গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনে যায়। গ্যাস দেওয়ার সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে গ্রিন লাইফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কর্মী মো. হুমায়ুন বলেন, বাসটিতে গ্যাস রিফিল করার সময়ই সেটি কেঁপে ওঠে। এ সময় যানটির ভেতরে কোনো যাত্রী ছিল না। অবস্থা বুঝে রিফিল কর্মী দ্রুত গ্যাসের ‘নজেল’ খুলে নেয়। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত ঘটে। এ সময় আশপাশে থাকা লোকজন আহত ও নিহত হন। পাম্পের বিভিন্ন স্থানে কাচ ভেঙে যায়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার জানান, বাসের সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই তিনজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে আহত ১০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে কারও কারও হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা। তিনি জানান, বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত তিনজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।