বাউফলে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে শ্রমিক লীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
পটুয়াখালীর বাউফলে মো. সুজন হাওলাদার (৩০) নামের এক অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত সুজন উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের নবী আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালাতেন। তিনি শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত খুনের কারণ জানা যায়নি।’
তবে সুজনের বাবা নবী আলী হাওলাদার অভিযোগ করেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুনঈমুল ইসলাম ওরফে মিরাজের (৩০) নেতৃত্বে তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কী কারণে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। নবী আলী হাওলাদার বলেন, আজ বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে সুজন বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যার দিকে তিনি খবর পান, তাঁর ছেলেকে মিরাজের নেতৃত্বে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ছেলের লাশ দেখতে পান।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে বসে এ কথা বলতে বলতে তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী নিজাম উদ্দিন (২৮) বলেন, সুজন আজ বিকেল সোয়া ৫টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে নারায়নপাশা নিজাম মিয়ার দোকানের সামনে পৌঁছালে মিরাজের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে গতিরোধ করেন। পরে সুজনকে তাঁরা প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ফেলে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য ছাত্রদল নেতা মুনঈমুল ইসলাম ওরফে মিরাজের মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, সুজনের শরীরের চার অংশে ছুরিকাঘাতের ক্ষত রয়েছে।