বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেল মাদ্রাসার ‘বড় ভাই’, পরে পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার

লাশপ্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহে পুকুরে ফেলে দিয়ে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের গুরোরভিটা পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত সাফওয়ান ইসলাম (৬) ওই গ্রামের জামমিম হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়ত। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই মাদ্রাসার আরেক ছাত্রকে (১৬) আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় লোকজন জানান, দুপুরের পর সাফওয়ানকে ডেকে নিয়ে যায় মাদ্রাসার আরেক ছাত্র। তারা সাইকেলে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে কয়েক ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করে। সাফওয়ান সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রামের পার্শ্ববর্তী গুরোর ভিটা পুকুরের পানিতে সাফওয়ানের দেহ ভাসতে দেখে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে। তাকে দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় জনতার মাধ্যমে ওই গ্রাম থেকেই সোহানকে আটক করে। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জেসমিন সুলতানা বলেন, সাফওয়ানকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর শিশুটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।  

নিহত শিশুর বাবা জামমিম হোসেন বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি এসে বলত, “বাবা, কয়েকটা ছেলে খুব ভয় দেখায়। আকাশে কি হচ্ছে? পানিতে ডুবে মরলে কি হয়?” এমন নানা বিষয়ে কথা বলত। ছোট শিশু ভেবে আমরা গুরুত্ব দিইনি। এখন দেখি সত্যিই ওরা আমার সন্তানকে মেরে ফেলল। এর বিচার চাই।’