সত্যিকারের মানবিক সমাজ গড়তে চায় জামায়াত: শফিকুর রহমান

মাগুরায় ভায়না মোড়ে আজ বৃহস্পতিবার পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানছবি: প্রথম আলো

বৈষম্য বিলোপ করে ইসলামি আদর্শে সত্যিকারের মানবিক সমাজ গড়তে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যে সমাজে নারীদের ওপর কোনো অত্যাচার হবে না, ভিন্নধর্মাবলম্বীদের মন্দির পাহারা দিতে হবে না, যুবসমাজ বেকার থাকবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা শহরের ভায়নার মোড়ে এক পথসভায় এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

আজ সকালে কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহের উদ্দেশে রওনা হন শফিকুর রহমান। পথে মাগুরায় একটি পথসভায় অংশ নেন তিনি। সকাল সাড়ে নয়টায় মাগুরায় পৌঁছালে দলীয় প্রধানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেতা–কর্মীরা। এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শফিকুর রহমান।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) মানুষকে খুন করেছে, গুম করেছে, ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। তারা বাংলাদেশকে জায়গায় জায়গায় দখল করেছে। চাঁদাবাজির মহারাজ্য কায়েম করেছে। মানুষের সম্পদের ওপর লোলুপ দৃষ্টি দিয়েছে। তাদের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সম্ভ্রমশীল মেয়েরা লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের সোনার ছেলেরাই ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছে। আমরা এইগুলা থেকে মুক্তি চাই।’

জামায়াতের আমির আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি দেশ চায়, এমন একটি রাষ্ট্র চায়, যেখানে আল্লাহ তাআলার বিধান অনুযায়ী সামাজিক সুবিচার কায়েম হবে। যেখানে মানুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না। যার যার ন্যায্য পাওনা হাতে পেয়ে যাবে। যুবকদের হাতে কাজ তুলে দেওয়া হবে। জাতি গঠনে যুবকেরা ভূমিকা রাখবেন। বেকারত্বের অভিশাপে কোনো যুবককে আত্মহত্যা করতে হবে না। চাকরি পাওয়ার জন্য তাঁকে কোনো দুষ্ট লোকের হাতে ঘুষ দিতে হবে না। বিচারালয়ে গিয়ে কাউকে আর কোনো বিচারকের দয়ার দিকে তাকাতে হবে না। একজন বিচারপ্রার্থী ন্যায্য বিচার পাবেন। বাজারে গেলে একজন ক্রেতাকে মাথায় হাত দিতে হবে না।

আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষের সমর্থন চেয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এমন একটা বৈষম্যহীন সমাজ আমরা গড়তে চাই, যে সমাজে ধনী-দরিদ্র সবাই সম্মানের সঙ্গে বসবাস করবে। সব ধর্মের মানুষ ধর্মীয় কার্যকলাপ ইজ্জত ও সম্মানের সঙ্গে পালন করবে। কাউকে পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।’

পথসভা শেষে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঝিনাইদহের উদ্দেশে মাগুরা ত্যাগ করেন শফিকুর রহমান।