সাপাহারে শিবিরের ১০ কর্মী গ্রেপ্তার
নওগাঁর সাপাহারে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১০ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে গোয়ালাবাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার হাশেমবেগপুর গ্রামের রাকিব হাসান, সাপাহার উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মোস্তাকিম হাছান, পোরশা উপজেলার গাঙ্গুরিয়া গ্রামের ফুয়াদ হাসান, ধামইরহাট উপজেলার আগ্রদ্বিগুন গ্রামের হালিম হোসেন, সাপাহার দক্ষিণ পাতাড়ী গ্রামের ইয়াছিন হামিদ ও ইয়াছিন আরাফাত, ধামইরহাট উপজেলার দিলালপুর গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের মোজাহেদুল ইসলাম, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জুগিশু গ্রামের আরিফ হাসান এবং সাপাহার উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের হাসান আলী। তাঁদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার গোয়ালাবাজারে ছাত্রশিবিরের ৪০-৫০ কর্মী মহান বিজয় উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান এবং ১০ শিবির কর্মীকে আটক করেন। পরে তাঁরা তাঁদের সাপাহার থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
গোয়ালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান দাবি করেন, ‘নাশকতা করার জন্য ছাত্রশিবিরের কর্মীরা গোয়ালাবাজারে একত্র হয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া করে এবং ১০ কর্মীকে আটক করে পুলিশে দেয়। ভবিষ্যতেও কেউ নাশকতার পরিকল্পনা করার চেষ্টা করলে আমরা তাদের প্রতিহত করব।’
এ ব্যাপারে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, স্থানীয় জনতার হাতে আটক ১০ তরুণকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা সবাই ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে জানিয়েছেন। বিজয় দিবসে তাঁরা নাশকতার করার উদ্দেশ্যে গোয়ালাবাজারে একত্র হয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।