খুলনায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি, দেড় ঘণ্টায় সব পণ্য শেষ
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খুলনা নগরে ভর্তুকি মূল্যে সবজিসহ কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। প্রথম দিন নগরের পাঁচটি স্থানে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলে। প্রথম দিনে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে সব পণ্য।
স্বল্প মূল্যে পণ্য কিনতে পেরে ক্রেতারা খুশি। তবে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছে অনেক ক্রেতাকে। আজ সোমবার শিববাড়ি মোড়ে পণ্য বিক্রির স্থানে দাঁড়িয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। আরও পণ্য বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
শিববাড়ি মোড়ে পণ্য বিক্রিতে সহায়তা করছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, নগরের পাঁচটি স্থানে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ট্রাকে করে এই পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাকে আছে ২ হাজার ৪০০টি ডিম, ৬৪০ কেজি আলু, ২০০ কেজি পেঁয়াজ, ২০০ কেজি পেঁপে ও ২০০ কেজি পটোল। একজন ক্রেতাকে ৩২০ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে এক ডজন ডিম, তিন কেজি আলু, এক কেজি পেঁপে ও এক কেজি পটোল। সরকারি নির্দেশে ভর্তুকি মূল্যে কার্যক্রম করা হচ্ছে।
কৃষিপণ্য ওএমএস বিক্রির স্থানগুলো হলো শিববাড়ি মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজের সামনে রাস্তাসংলগ্ন স্থান, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের সামনে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে নগরে বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
শিববাড়ি মোড়ে ওএমএস পণ্য কিনতে এসেছিলেন নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া বেগম। তিনি আরও বলেন, ‘দামের কারণে ডিম-দুধ এখন কিনি খাতি পারি নে। বাজারে এখন এগুলোর মেয়ালা দাম। এখানে খুব কম টাকায় এগুলো পাচ্ছি, তাই কিনতি আইছি।’
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিববাড়ি মোড়ে কৃষিপণ্য ওএমএস কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম। এ সময় তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষেরা যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য স্বাচ্ছন্দ্যে ও সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারেন, সে জন্য এই ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁদের ওপর কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও কমে আসবে। সপ্তাহে সাত দিনই এই বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
উপস্থিত ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) আবু রায়হান মুহম্মদ সালেহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।