সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের নৌকায় ভোট চাইতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ

মো. আরিফ সরকার

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে উপজেলার বেশ কয়েকজন শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল মমিন মণ্ডল। শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ সরকারের বিরুদ্ধে ওই প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া এবং শিক্ষকদের নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করতে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ করেন শিক্ষকেরা। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুব হাসান অভিযোগের একটি কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও মাহবুব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগকারীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন। তিনি সেই অভিযোগের একটি কপি পেয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চৌহালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ সরকার সরকারি চাকরিজীবী হয়েও সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল মমিন মণ্ডলের পক্ষে নিজে ভোট প্রার্থনা করছেন। পাশাপাশি উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নৌকার পক্ষে প্রচার চালাতে এবং ভোট দিতে চাপ সৃষ্টি করছেন। এতে উপজেলার শিক্ষকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। বিষয়বস্তু জানিয়ে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত দুজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ওই কর্মকর্তাকে বদলি করা না হলে চৌহালীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে তাঁরা মনে করছেন। দেখা যাবে, অনেক শিক্ষক তাঁর ভয়ে নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়বেন। একজন সরকারি চাকরিজীবী পদে থেকে কারও পক্ষে ভোট চাওয়া মানে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করা।