নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ কে আজাদের দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ

নৌকার সমর্থকদের হামলায় আহত দুজন ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের কর্মী
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের দুজন কর্মীকে মারধরের খবর পাওয়া গেছে। মারধরের শিকার দুজন জানান, আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ইউনিয়নটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোলজার মণ্ডলের ডাঙ্গী এলাকার আক্কাস আলীর বাজারে তাঁদের নৌকার সমর্থকেরা মারধর করেন।

পরে তাঁদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁরা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারধরে আহত দুজন হলেন গোলজার মণ্ডলের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আজিজ শেখ (৫৫) ও সিদ্দিক শেখ (৪০)। তাঁরা দুজন সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।

সিদ্দিক শেখ বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি বাড়ি থেকে চা খাওয়ার জন্য বাড়ির পাশের আক্কাস আলীর বাজারের উদ্দেশে বের হন। এ সময় তিনি একা ছিলেন। পথে নৌকার প্রার্থী শামীম হকের অনুসারী স্থানীয় বাসিন্দা হালেম শেখসহ কয়েকজন তাঁর পথরোধ করে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘এত দিন যা করছিস করছিস, এখন থেকে আর এ কে আজাদের নির্বাচন করতে পারবি না।’

আরও পড়ুন

সিদ্দিক শেখ বলেন, ‘আমি এ প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁরা আমার চোখে–মুখে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারেন। এ সময় আমাকে মারতে দেখে আমার চাচা আজিজ শেখ এগিয়ে এলে তাঁকেও কিলঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে আমাদের মাটিতে ফেলে পাড়াতে শুরু করেন। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তাঁরা পালিয়ে যান।’

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন, আহত দুই ব্যক্তির আঘাত তেমন গুরুতর নয়। তাঁদের শরীর ও মাথায় কিলঘুষি মারা হয়েছে। তাঁদের মাথাব্যথা বলার কারণে দুজনেরই মাথার এক্স–রে করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্যালাইন চলছে। এভাবে দু–এক দিন বিশ্রামে থাকলে তাঁরা সুস্থ হয়ে যাবেন।

মারধরে জড়িত ব্যক্তিরা নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তাঁরা নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক। স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই কর্মীকে মারধরের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আক্কাস আলীর বাজারে আজ সকালে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁর জানা নেই। তাঁর দাবি, নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা নানা জাতীয় গুজব ছড়াচ্ছেন। এটি সে গুজবের অংশ হয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের দুই কর্মীকে মারধরের কথা তিনি শুনেছেন। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।