পিরোজপুরে সাবেক মন্ত্রী রেজাউল ও তাঁর তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ ও লুটের মামলা

শ ম রেজাউল করিম
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুটের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পিরোজপুর সদর থানায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলার বাদী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিকদার মল্লিক গ্রামের ব্যবসায়ী শরিফুজ্জামান সিকদার।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন শ ম রেজাউল করিমের তিন ভাই নূর ই আলম সিদ্দিকী, শামীম শেখ ও বাবুল শেখ, নাজিরপুর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের আল আমিন শেখ, একই উপজেলার শ্রীরামকাঠি গ্রামের মিঠু শেখ, পিরোজপুর পৌরসভার কালীবাড়ি সড়কের তৌসিফ খান এবং সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের মোহাম্মদ আলী শেখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পাঁচপাড়া বাজারে সাজিদ এন্টারপ্রাইজ, সাজিদ মেশিনারিজ, সাজিদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে বাদী শরিফুজ্জামান সিকদারের তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল। প্রতিদিনের মতো ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে শরিফুজ্জামানের কর্মচারীরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তিনটি বন্ধ করে বাসায় যান। ওই দিন রাত ২টার দিকে পাঁচপাড়া বাজারের পাহারাদার জাকির মুঠোফোনে শরিফুজ্জামান সিকদারকে জানান, তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পেট্রল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে আসামিরা মাইক্রোবাসে উঠে দ্রুত নাজিরপুরের দিকে চলে গেছেন।

মামলার বাদী শরিফুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানি) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশে তাঁর ওই তিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং দুটি দোকানের ক্যাশবক্স থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে যান আসামিরা। একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তাঁর দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনার পর থানায় গেলে থানা-পুলিশ মামলা নেয়নি। ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর পিরোজপুর সদর থানায় কেবল একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শরিফুজ্জামান।

এ ব্যাপারে কথা বলতে শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মামলার আসামি নূর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘শরিফুজ্জামান সিকদারের বিরুদ্ধে আমরা তিনটি মামলা করেছিলাম। এ কারণে তাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।’