কুমিল্লায় নতুন ভোটাররা চান কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি
নতুন ভোটাররা কুমিল্লা নগরের সব ধরনের উন্নয়নকাজ টেকসই করার দাবি জানান। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ চান। নারীদের জন্য কর্মমুখী প্রকল্প চান। এবার নতুন ভোটার হয়েছেন, এ রকম কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে গতকাল সোমবার কথা বলে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে।
তাঁরা এবারই প্রথমবারের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে ভোট দেবেন। আগামী ৯ মার্চ মেয়র পদে এ উপনির্বাচন হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮। ২০২২ সালে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। প্রায় ২১ মাসের ব্যবধানে ২৭টি ওয়ার্ডে নতুন ভোটার হয়েছেন ১২ হাজার ৫৩৮ জন।
নতুন ভোটারসহ সব ভোটারই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট দেবেন। গত তিনটি নির্বাচনের মধ্যে দুটি নির্বাচন ইভিএমে হয়েছে। এবারও ইভিএমে ভোট হবে।
কুমিল্লা নগরের ধর্মসাগরপাড় এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসীন জামাল বলেন, ‘সড়কের অবস্থা খারাপ। সড়ক ঠিক করতে হবে। কান্দিরপাড়ে যানজট লেগেই থাকে। পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন নগরী চাই।’
কুমিল্লা নগরের রেসকোর্স এলাকার ভোটার ইসরাত জালাল বলেন, ‘কুমিল্লা প্রাচীন শহর। কিন্তু শহরটি পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠেনি। একটা ঘিঞ্জি পরিবেশ। উন্নয়নকাজগুলো পরিকল্পিত হওয়া দরকার।’
নগরের আশ্রাফপুর এলাকার ভোটার সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘শহরে যানজট বেশি। বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের কারণে যানজট ক্রমে বাড়ছে। নতুন মেয়রের কাছে যানজটমুক্ত নগরী চাই।’
অশোকতলা এলাকার ভোটার কাউসার আহমেদ বলেন, ‘কর্মসংস্থানের সুযোগ চাই। কাজের প্রতিশ্রুতি যিনি দেবেন, তাঁকে ভোট দেব।’
নারীদের কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
হীরাপুর এলাকার ভোটার সালমা বেগম বলেন, নারীদের কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনজন ভোটার বলেন, এখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি খুবই নাজুক। সড়কের মধ্যে নালার পচা দুর্গন্ধযুক্ত তরল ময়লা ফেলা হয়। সড়ক সম্প্রসারণও কম হচ্ছে। অতীতে সড়কের ও নালার উন্নয়নকাজ টেকসই হয়নি। সমন্বয় করে নগরের উন্নয়ন চাই।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মেয়র আরফানুল হক মারা যান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্বাচন হচ্ছে।
নারী ভোটার বেশি
নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি। গত তিনটি নির্বাচনেও নারী ভোটার ছিলেন বেশি। এখানে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন। হিজড়া ভোটার ২ জন।
২০২২ সালে ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। হিজড়া ভোটার ২ জন।
২০১৭ সালে ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭ ও নারী ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন।
২০১২ সালে ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৭৯। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩ হাজার ২০১ ও নারী ভোটার ৮৬ হাজার ৭৮ জন।