নাসিরনগরে পাওনা টাকার জেরে বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের আঘাতে সানু মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পূর্বভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সানু একই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে কাজের সুবাদে নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ধার নেন প্রতিবেশী আক্তার। সেই টাকা ফেরত দিতে দেরি হওয়ায় কয়েক দিন আগে আক্তারের মুঠোফোন কেড়ে নেন হাবিবুর। পরে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ফিরলে গতকাল বেলা দুইটার দিকে হাবিবুরের কাছে সেই মুঠোফোন ফেরত চান আক্তার। এ নিয়ে পূর্বভাগ গ্রামে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। ঘটনাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে জানাজানি হলে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিষয়টির আপস হয়। বিকেলে আক্তারের চাচা সানু মিয়া বিষয়টি হাবিবুরের চাচা করিম মিয়া মাস্টারকে জিজ্ঞেস করতে যান। ওই সময় হাবিবুরের পক্ষের লোকজনের কিলঘুষিতে সানু অচেতন হয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের সাত ব্যক্তিকে আটক করেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন বেলাল হোসাইন, রিপন মিয়া, রুবেল চৌধুরী, মো. আসিফ, মো. সাকিবউল্লা, মো. শাহ আলম ও মো. ইয়াছিন মিয়া।
আক্তার মিয়ার অভিযোগ, হাবিবুরের লোকজন দুই দফায় হামলা করেছেন। তাঁদের হামলাতেই তাঁর চাচা সানু নিহত হয়েছেন। তবে হাবিবুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় সানু মিয়া নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে তাঁর পরিবার। সানু মিয়া বৃদ্ধ ছিলেন। সুরতহাল করে নিহত ব্যক্তির শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিপক্ষের কারও ধাক্কা বা চড়থাপ্পড়ে পড়ে গিয়ে সানু মিয়া মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।