পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাত থেকে এ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের (৬৬০ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে গত ৯ নভেম্বর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের (৬৬০ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিকটবর্তী লোন্দা গ্রামে আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেড নামের আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে। ৬৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতেও দুটি ইউনিট রয়েছে। বাংলাদেশ-চায়নার যৌথ মালিকানায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার জন্য সঞ্চালন লাইন সংস্থাপনের কাজ চলছে। ফলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করা হয়।
পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক (অনুসন্ধান) শাহ মনি জিকো প্রথম আলোকে বলেন, গত ৯ নভেম্বর রাত থেকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করা হয়। আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেডের উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হওয়ার জন্য ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাত দিন পর আবার এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সুইচিং পয়েন্ট নির্মাণসহ সব কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করতে পারব।’