ফেরি থেকে নদীতে পড়ল অটোরিকশা

দুর্ঘটনায় পড়া অটোরিকশা থেকে উদ্ধার হওয়া এক যাত্রী। আজ রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেসংগৃহীত

চট্টগ্রামের কালুরঘাটে ফেরি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নদীতে পড়ে গেছে। ফেরিতে থাকা লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে অটোরিকশাচালকসহ তিন যাত্রীকে উদ্ধার করেন। তাঁরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব প্রান্তে এই দুর্ঘটনা ঘটে। চালক ও যাত্রীদের উদ্ধার করা হলেও অটোরিকশা নদীতে তলিয়ে যায়। নদীতে পড়ে যাওয়া অটোরিকশার চালক হচ্ছেন মো. সেলিম (৫০)। যাত্রীরা হলেন সেলিমের মা খদিজা আকতার (৬৫), বোন ডেইজি আকতার (৩২) ও ছেলে সিহাম (৮)। চালক সেলিম বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইমাম নগর গ্রামের চান বক্স সওদাগর বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে।

নদীতে পড়ে যাওয়া অটোরিকশাচালক মো. সেলিম জানান, তাঁর মা অসুস্থ। মাসহ অন্যদের নিয়ে চিকিৎসা নিতে চট্টগ্রাম নগরে যাচ্ছিলেন। ফেরিতে ওঠার পর হঠাৎ গাড়িটি নদীতে পড়ে যায়। এ সময় মুঠোফোন, জরুরি কাগজপত্রসহ গাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য এনামুল হক সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব প্রান্ত থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি ঘোরানোর সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা নদীতে পড়ে যায়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা দুজন নারী, এক শিশু ও চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুদ আলম বলেন, পানিতে পড়ে যাওয়া শিশুটি সুস্থ আছে। তবে চালক ও দুই নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে নির্মিত হয় কালুরঘাট রেলসেতু। ১৯৬২ সালে যান চলাচল শুরু হয়। এর আগে দুবার সংস্কার করা হয়েছিল। কালুরঘাট রেলসেতুর বয়স এখন ৯৩ বছর। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুতে বড় ধরনের সংস্কারকাজের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। কাজ শুরু হয় গত বছরের ১ আগস্ট থেকে। এর পর থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প হিসেবে ফেরি দিয়ে গাড়ি ও যাত্রী পারাপার করা হয়।