কোটচাঁদপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় সাবেক দুই এমপিসহ ১৯ জনের নামে মামলা
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার জামায়াত নেতা এনামুল হক হত্যার ঘটনায় সাবেক দুই সংসদ সদস্য, পুলিশ সুপারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে কোটচাঁদপুর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই এস এম তরিকুজ্জামান। আদালত মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করতে কোটচাঁদপুর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় ঝিনাইদহ-৩ আসনের (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর) সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খাঁন ও মো. নবী নেওয়াজ, সাবেক পুলিশ সুপার (চাকরিচ্যুত) আলতাফ হোসেন, সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, এসআই সৈয়দ আলী ও কনস্টেবল সমির কুমারকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের একাধিক আদালতে পাঁচটি হত্যা মামলা করা হলো।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তাঁর ভাই এনামুল হক কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক ছিলেন। এনামুলকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের মধ্য থেকে পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত–সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে ফিরছিলেন। এর কয়েক দিন পর ২৬ জানুয়ারি কোটচাঁদপুর শহরের নওদাপাড়া গ্রামে এনামুলের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। এ সময় পুলিশ দাবি করে, যৌথ বাহিনীর অভিযানে এনামুল নিহত হয়েছেন।
কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মো. শরিফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী রুস্তম আলী আদালতে বাদীর পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দ আল মামুন জানান, আদালতের আদেশ থানায় পৌঁছানোর পর তাঁরা আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।