ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের পক্ষে প্রচারণায় বাধা, লিফলেট ছিনতাই

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাকের মোড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের পক্ষে প্রচারণার সময় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুসরাত রাসুলের পথরোধ করে হুমকি ও লিফলেট ছিনতাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

সৈয়দ নুসরাত রাসুল বলেন, ‘আমরা ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী প্রচারণা জন্য বের হয়েছিলাম। আলীপুরের রাজ্জাকের মোড়ে আমরা উপস্থিত হলে শামীম হকের সমর্থকেরা প্রায় ২০-২৫টা মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরেন। এ সময় আমরা আলীপুরে এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে পারব না বলে চলে যেতে বলেন। এ সময় আমাদের কাছে থাকা ঈগল মার্কার সব লিফলেট তারা ছিনতাই করে নিয়ে চলে যান।’

১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির তালুকদার বলেন, ‘বেলা তিনটার সময় আমরা সবাই শামীম হকের জন্য আওয়ামী লীগ অফিসে অবস্থান করছিলাম। রাজ্জাকের মোড়ে কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, সে সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।’

এদিকে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদপুর মহল্লায় এ কে আজাদ ও শামীম হকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, ওই এলাকার মুন্নু মাতুব্বর এ কে আজাদের সমর্থক।

অপরদিকে মুন্নুর ভাই রশিদ মোল্লা শামীম হকের সমর্থক। আজ আদালতে শামীম হকের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষিত হওয়ার খবর শুনে রশিদ মোল্লার দুই ছেলে আসাদ মোল্লা ও আইয়ুব মোল্লা আনন্দ–উচ্ছ্বাস করতে থাকেন। এ সময় মুন্নুর দুই ছেলে রনি মোল্লা ও কাইয়ুম মোল্লার সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি ও পরে মারামারি শুরু হয়। এতে আসাদ মোল্লা, আইয়ুব মোল্লা ও রনি মোল্লা আহত হন। আসাদ মোল্লা ও আইয়ুব মোল্লাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং রনি মোল্লাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুস সালাম শেখ বলেন, যাঁদের মধ্যে মারামারি হয়েছে, তাঁরা চাচাতো ভাই। শামীম হকের পক্ষে স্লোগান দেওয়ায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল গাফ্ফার বলেন, দুটি ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ অবগত আছে। দুই জায়গাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মাহমুদপুরের ঘটনা চাচাতো ভাইদের বিরোধের কারণে ঘটেছে। রাজ্জাকের মোড়ের ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসার পর এ ব্যাপারে তথ্য জানানো সম্ভব হবে।