নোয়াখালীতে যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় চালককে পিটিয়ে ‘হত্যা’
নোয়াখালীর চাটখিলে সড়কে যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর নাম মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহ (৫০)। তিনি উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মোস্তাননগর এলাকার মহুরী মার্কেটের সামনে চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার হালিমা দিঘীরপাড় এলাকার মো. রাজু (২২) ও একই এলাকার জাহাঙ্গীর (২৪)। সাখাওয়াতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ বুধবার সকালে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাখাওয়াত গতকাল রাত ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজার থেকে নিজের অটোরিকশা চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের মহুরী মার্কেটের সামনে পৌঁছে দেখেন কয়েকটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কের ওপর এলোমেলোভাবে রাখা। এ কারণে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তখন সাখাওয়াত অটোরিকশা থামিয়ে সড়কে এলোমেলোভাবে গাড়ি রাখার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে অটোরিকশাচালক রাজুর সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাজু, জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে বেধড়ক পেটান সাখাওয়াতকে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সড়কের ওপর এলোমেলোভাবে অটোরিকশা রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় রাজু, জাহাঙ্গীর ও মুন্না অটোরিকশাচালক সাখাওয়াতকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।