চট্টগ্রামে এবার রেললাইন অবরোধ, আটকে যায় পর্যটক এক্সপ্রেস

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে এবার রেললাইন অবরোধ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বিকেলেছবি: জুয়েল শীল

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে এবার রেললাইন অবরোধ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে নগরের ষোলশহর রেলস্টেশনে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস আটকে যায়। অবশ্য আধা ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে চলে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি ষোলশহর স্টেশন থেকে প্রায় তিন শ মিটার দূরে মুরাদপুর এলাকায় আটকে ছিল। ওই এলাকায় দুটি রেলক্রসিং রয়েছে। ট্রেনটি দুটি রেলক্রসিংয়ের মধ্যেই আটকে ছিল। এর ফলে নগরের মুরাদপুরের সঙ্গে অক্সিজেন এলাকার সড়কের যান চলাচল ব্যাহত হয়। পাশাপাশি ফরেস্ট গেট এলাকায়ও যানজট দেখা দেয়।

জানতে চাইলে ষোলশহর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ করেছেন। এ কারণে ট্রেন আটকে যায়। শিক্ষার্থীদের তাঁরা বুঝিয়েছেন।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজকের কর্মসূচি পালন করছেন।

আন্দোলনরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন তাঁরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানাচ্ছেন।

এগুলো হলো ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।