চাঁদা না পেয়ে চিকিৎসককে অপহরণ, সাবেক ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম আদালত ভবনফাইল ছবি

৩০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক চিকিৎসককে অপহরণের অভিযোগে রাউজান থানার সাবেক ওসি, দুই উপপরিদর্শকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম আবেদন করলে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন আজ মঙ্গলবার রাউজান থানার পুলিশকে মামলা হিসেবে নিতে নির্দেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী নাজমুল হাসান সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর আবেদন গ্রহণ করে রাউজান থানার পুলিশকে এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন, রাউজান থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস, এসআই শাফায়েত হোসেন, এসআই টোটন মজুমদার, ফজল করিম, মনজুর হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল রাউজান নোয়াপাড়া পথেরহাট এলাকার চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে সাদাপোশাকে গিয়ে ধরে নিয়ে যান রাউজান থানার এসআই টোটন মজুমদার। এর আগে চিকিৎসকের কাছে টোটন ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। নইলে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেন। চিকিৎসকের অপরাধ, তিনি বিএনপি করেন।

সাদাপোশাকে চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গাড়িচালক রাসেলের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু পরে রাসেল আদালতে হলফনামা দিয়ে জানান, চিকিৎসক জাহাঙ্গীর নামের কাউকে তিনি চেনেন না। তাঁর কাছ থেকে কেউ টাকা নেয়নি। গত ২৯ আগস্ট আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।

চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, মিথ্যা মামলা হওয়ার পর থেকে গত ১০ বছর তিনি চেম্বারে বসে রোগী দেখতে পারেননি। কেন, কার নির্দেশে পুলিশ ও অন্য আসামিরা তাঁকে মিথ্যা মামলা ফাঁসিয়েছেন, তদন্ত করে তাঁদের আইনের আওতায় আনার দাবি এই চিকিৎসকের।