সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ও ছয়জন শিক্ষককে বদলির সিদ্ধান্ত

সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ছবি: প্রথম আলো

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ছয় শিক্ষককে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা এবং বদলির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কলেজের আটজন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীকে ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজের অধ্যক্ষ গতকাল রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। সোমবার প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেদন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস ও হলগুলোয় ছাত্রছাত্রীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক লবিং ও ক্লাবগুলোয় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় মেডিকেল কলেজের ছয় চিকিৎসককে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই কারণে তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আন্দোলন চলাকালে মধ্যরাতে ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেওয়ায় দুই শিক্ষককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের হুমকি ও হামলার অভিযোগ এনে কয়েকজনের নাম এবং শাস্তির প্রস্তাব দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আটজনকে কলেজ ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হলেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা সৌম্যজিৎ দে, সাইফুল হাই, সজল এস চক্রবতী, মিল্টন আহমেদ, ইলহামুর রহমান চৌধুরী, রাকিব হাসান, রঞ্জন সরকার। এ ছাড়া আরও দুজন পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী অরূপ রাউত ও বিজন সেনকে ছয় মাস শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির বিষয়েও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কলেজের অধ্যক্ষ শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলির বিষয়টি মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবেন। এ ছাড়া কলেজে অবাঞ্ছিত করা আটজন সাবেক শিক্ষার্থী শিক্ষানবিশ হিসেবে হাসপাতালে কর্মরত থাকায় হাসপাতালের পরিচালক যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।