ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিল

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের খবরে আনন্দ মিছিল করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে এগারোটায় ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টেছবি: প্রথম আলো

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে এই মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, শহীদ মিনার, ছাত্রী হল ঘুরে সাড়ে ১১ টায় আবার গোলচত্বরে এসে শেষ হয়।

এদিকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার খবরে চট্টগ্রাম নগরেও আনন্দ মিছিল হয়েছে। রাত ১১ টায় ষোলোশহর স্টেশনে এই মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি ষোলোশহর স্টেশন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

এর আগে বুধবার বিকেলে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই মিছিলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়েছিল। এসব দাবির মুখে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে এই ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের খবর জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘোরেন ও মিষ্টি বিতরণ করেন তাঁরা। মিছিলে ‘এই মুহূর্তে খবর এল/ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো’, ‘ছাত্রলীগ জঙ্গি/ স্বৈরাচারের সঙ্গী’,‘ছাত্রলীগ যে পথে, খুনি হাসিনা সে পথে’, ‘হই হই রৈ রৈ, ছাত্রলীগ গেলি কই’, ‘পালাইছে রে পালাইছে, ছাত্রলীগ পালাইছে’ প্রভৃতি স্লোগান ছিল।

মিছিলে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মোনায়েম শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এর নিষিদ্ধকরণ সাময়িক স্বস্তি আনলেও ব্যক্তিগতভাবে আমার আরও দুটি দাবি রয়েছে। এর একটি হলো আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই বিপ্লবের গণহত্যাসহ ফ্যাসিবাদের ১৬ বছরের সব অপকর্মের সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। এটিই এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চাওয়া।’ প্রায় এই ধরনের বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সমন্বয়ক রিজাউর রহমান।