গাংনীতে একটি বুথে এক ঘণ্টায় একটি ভোটও পড়েনি
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথে প্রথম এক ঘণ্টায় একটি ভোটও পড়েনি। আজ মঙ্গলবার সকালে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও কম ছিল।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আলীমুল রেজা প্রথম আলোকে বলেন, এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৪৬৩। আজ সকাল ৮টায় আটটি বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রথম এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০টি। এই কেন্দ্রের ৫ নম্বর বুথে প্রথম এক ঘণ্টায় একটিও ভোট পড়েনি।
আজ সকালে উপজেলার তিনটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে। গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, এই উপজেলার ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৪ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১০৭টি। চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) জুলফিকার আলী ভুট্টো (কই মাছ), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ খালেক (আনারস), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শফিকুল আলম (কাপ পিরিচ), গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান (হেলিকপ্টার), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক লায়লা আরজমান বানু (দোয়াত কলম), আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম (ঘোড়া), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন (মোটরসাইকেল) এবং আওয়ামী লীগ কর্মী মুকুল আহমেদ (শালিক পাখি)। তাঁদের মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন লায়লা আরজমান বানু, মোশাররফ হোসেন এবং এ কে এম শফিকুল আলম।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দেলোয়ার হোসেন (তালা), ফারুক হাসান (টিউবওয়েল)। এ ছাড়া নির্বাচন থেকে সরে গেছেন রেজাউল ইসলাম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফারহানা ইয়াসমিন (হাঁস), জাকিয়া আক্তার (কলসি), নাসিমা খাতুন (ফুটবল)।