ফরিদপুরে সাবেক পৌর মেয়রসহ ৬ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা

ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র অমিতাভ বোস (বাঁয়ে) এবং সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামচুল আলম চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সদ্য সাবেক মেয়রসহ ছয় আওয়ামী লীগ নেতাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতে দ্রুত বিচার আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সরদার।

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাম্মদ নাসিম মাহমুদ মামলাটি আমলে নিয়ে তা এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন ফরিদপুর পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বোস, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামচুল আলম চৌধুরী, ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন, ফরিদপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ শেখ, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা চুন্নু শেখ ও যুবলীগের কর্মী দিপংকর দাস।

মামলার আরজিতে বাদী লুৎফর রহমান উল্লেখ করেন, ভিন্ন দল করার কারণে আসামিরা তাঁর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আসামিরা রামদা, বল্লম, সড়কি ও লোহার রড নিয়ে তাঁকে ভয় দেখান। এ সময় তাঁদের এক লাখ টাকা দিয়ে প্রাণভিক্ষা চাইলে তাঁরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় আসামিরা তাঁর হাত-পা রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। তাঁর স্ত্রী বাধা দিলে তাঁকেও ঘরে আটকে রাখা হয়। আসামিরা পরে ঘরের সব মালামাল ভাঙচুর করেন এবং নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান।

মামলার বাদী বলেন, আসামিরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় তাঁদের বিরুদ্ধে এত দিন কোনো কিছুই বলা যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় মামলা করছেন।
বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান সরদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র অমিতাভ বোস, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামচুল আলম চৌধুরী ও ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে এসব অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে লুৎফর রহমান সরদারের মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।