বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি, তিন জেলে গুলিবিদ্ধ
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরসংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে এফবি মা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গুলিতে আহত জেলেরা হলেন মো. জালাল শরীফ (৫৫), মো. শাহ আলম (৪৫) ও মো. মিজানুর রহমান (২৫)। তাঁদের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর ও বিপিনপুর গ্রামে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পায়রা বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে গভীর সাগরে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মহিপুর মৎস্যবন্দরে এসে ট্রলারের জেলেরা তাঁদের মালিককে ডাকাতির বিষয়টি জানান।
এফবি মা ট্রলারের মাঝি সরোয়ার মিয়া বলেন, ‘আমরা ১৩ জন জেলে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গভীর সাগরে গেছিলাম। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কিনারে ফেরার পথে পায়রা বন্দর এলাকায় পৌঁছাইলে একদল ডাকাত আমাদের ট্রলারে বন্দুক দিয়ে গুলি করে। এইতে ট্রলারের আমরা তিনজন জেলে আহত হই। একপর্যায়ে ট্রলারে উইঠ্যা ডাকাতেরা বাকি জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। ডাকাতেরা ট্রলারে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকার ইলিশ, ১২টি অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোন, জ্বালানি তেলসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট কইরা নিয়া যায়। পরে আমরা প্রাণভিক্ষা এবং ট্রলারটি না নেওয়ার অনুরোধ জানাইলে ডাকাতেরা মালামাল নিয়া চইলা যায়। ডাকাতদের কথা হুইন্যা মনে হইছে এরা চট্টগ্রামের লোক।’
ঘটনার পর গতকাল বিকেলে আহত জেলেদের উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান অন্য জেলেরা। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শে গুরুতর আহত জালাল শরীফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জালাল শরীফের ডান চোখে গুলি লেগেছে। বাকি দুই জেলে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস বলেন, ‘এফবি মা নামের ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় আমরা চিন্তিত। এ নিয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।’