সীমান্তে ঘোরাফেরার সময় কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা আটক

আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলামছবি: সংগৃহীত

সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরার সময় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ওরফে জহিরকে (৪৫) আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সীমান্ত এলাকা সুতারমোড়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

আজ সোমবার বিকেলে ৬০ বিজিবির (সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জহিরুল ইসলাম আদর্শ সদর উপজেলার ধর্মপুর (কুমিল্লা শহরতলি) এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ওরফে টুটুলের চাচাতো ভাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার রাতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধীন কাজিয়াতলী বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ২০২৯/এম থেকে আনুমানিক ১৪০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সুতারমোড়া নামক স্থানে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে  সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। পরে বিজিবির সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভিত্তিহীন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য এবং নিজের পরিচয় সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেন। পরে বিজিবি সদস্যরা তাঁর নিজ এলাকার ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানতে পারেন তিনি একজন দুষ্কৃতকারী ও আওয়ামী লীগের একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁর চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জহিরুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে হওয়া চারটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।