সাইক্লিংয়ে দেশসেরা প্রিয়ার সাক্ষাৎকার

মনে হয়, আমি যেন প্রতিবাদী মানুষ

৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাইক্লিংয়ে দেশসেরা হয়েছে যশোরের কেশবপুরের গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়া খাতুন। প্রত্যন্ত গ্রামের প্রিয়ার কীভাবে সাইক্লিংয়ের প্রতি আগ্রহ হলো, তার ভবিষ্যৎ ভাবনা কী—এসব নিয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে তার সঙ্গে।

প্রশ্ন:

সাইক্লিংয়ের প্রতি আগ্রহ কবে থেকে, কীভাবে হলো?

প্রিয়া খাতুন: আমার বয়স যখন ৭-৮ বছর, তখন থেকে সাইকেল চালাই। মূলত সব ধরনের খেলার প্রতি আমার আগ্রহ। তবে আমাদের স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক শাহদুল ইসলাম স্যার সাইক্লিংয়ের বিষয়ে আমাকে বেশি উৎসাহ দেন। আর মনে আগ্রহ বেশি হয় ছোটবেলা থেকে; যখন সাইকেল চালিয়ে সাফল্য পাই, তখন থেকেই।

প্রশ্ন:

বাবা-মা তোমার আগ্রহে উৎসাহ দেখিয়েছেন?

প্রিয়া খাতুন: সাইকেল চালানোর জন্য সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেন বাবা। মা নিজে ছোটবেলায় পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ভালো ছিলেন। মা সব সময় চান, আমি যেন সব দিকে পারদর্শী হয়ে উঠি। খেলার প্রতি মা অনেক উৎসাহ দেন।

প্রশ্ন:

খেলার প্রতি তোমার আগ্রহ নিয়ে প্রতিবেশীদের মনোভাব কেমন ছিল?

প্রিয়া খাতুন: খেলাধুলা করলে, সাইকেল চালালে অনেকে কটু কথা বলতেন। তাঁরা এখন ডেকে ডেকে কথা বলছেন। আমার সাফল্য নিয়ে তাঁরা গর্ববোধ করছেন।

প্রশ্ন:

সামনের দিনগুলোয় কী করতে চাও? তোমার স্বপ্ন কী?

প্রিয়া খাতুন: অবশ্যই সাইক্লিংয়ে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করার টার্গেট থাকবে। আমি জাতীয় নারী ফুটবল দলে খেলতে চাই। এটাই আমার স্বপ্ন। বিদ্যালয়ে ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ নিই। ফুটবল প্রশিক্ষণ একাডেমিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ক্রীড়া শিক্ষক ভর্তি করে দেবেন, বলেছেন। খেলাধুলা করেই জীবনে সাফল্য পেতে চাই।

প্রশ্ন:

যখন সাইকেল চালাও, তখন কেমন অনুভূতি হয়?

প্রিয়া খাতুন: সাইকেল চালানোর সময় মনে হয়, আমি যেন একজন প্রতিবাদী মানুষ!

প্রশ্ন:

অবসরে কী করো?

প্রিয়া খাতুন: অবসর খুব কম পাই। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আবার খেলার মাঠে গিয়ে খেলা করি। তারপর অবসর পেলে গান শুনি। কখনো কখনো বই পড়ি।