রাজশাহী নগরে হরদম চুরি হচ্ছে নালার স্ল্যাব–ফ্রেম, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বাঁধানো ফুটপাত থেকে স্ল্যাব তুলে লোহার ফ্রেম চুরি হয়ে যাচ্ছে। এতে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে হাঁটাপথ। গতকাল সকালে নগরের ডাবতলা এলাকায়ছবি প্রথম আলো

রাজশাহী নগরের ফুটপাতের পাশের নালা থেকে প্রায় ৩০০ লোহার স্ল্যাব-ফ্রেম চুরি হয়েছে। এর কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত মেরামতের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের তদারকি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকালে চুরি হওয়া স্ল্যাব–ফ্রেমসহ দুই তরুণকে হাতেনাতে আটক করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই তরুণেরা রিকশায় করে ফ্রেমগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। নগরের ডাবতলা-সিটিহাট সড়কের বাঁ পাশের ফুটপাত থেকে এগুলো তোলা হয়েছিল।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শেখ মো. সাকিব জানান, ফজরের নামাজ পড়ে তিনি নগরের বহরমপুর থেকে সিটিহাটের সড়কে হাঁটতে বের হয়েছিলেন। এ সময় দেখেন, রিকশায় দুই তরুণ ফুটপাতের স্ল্যাবের লোহার ফ্রেম নিয়ে যাচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ফ্রেমগুলো রেখে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ফ্রেমগুলো নিয়ে নগরের রাজপাড়া থানায় যান সাকিব।

রাজপাড়া থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সুরভী খাতুন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সড়কের পাশে বেশকিছু স্ল্যাব–ফ্রেম পড়ে থাকতে দেখা যায়। গতকাল সকালে নগরের ডাবতলা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

এদিকে বহরমপুর থেকে সিটিহাটের সড়কে দেখা যায়, ফুটপাতের ২৮৩টি স্ল্যাব–ফ্রেম ইতিমধ্যে তুলে ফেলা হয়েছে। এসব স্ল্যাবের চারপাশের লোহার ফ্রেমগুলোও খুলে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় একটানা ৩০টি পর্যন্ত স্ল্যাব তুলে ফেলা হয়েছে। এতে স্ল্যাববিহীন ওই ফুটপাতে হাঁটাকে বিপজ্জনক বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আতিকুর রহমান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সিটি করপোরেশন লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে সুন্দর ফুটপাতটি নির্মাণ করেছিল। লোহার ফ্রেমের লোভে চোর এখন স্ল্যাবগুলো তুলে নষ্ট করছে। তিনি বলেন, ফুটপাত না থাকলেও রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটা যেত, কিন্তু এত সুন্দর ফুটপাত এখন হাঁটার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা অবগত। কিছুদিন ধরেই এ ঘটনা ঘটছে। আগেই এ ব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছে।