বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত পোশাকশ্রমিক মিনহাজুল হোসেনের (১৭) বাঁ হাতের কনুই ভেদ করে একটি গুলি কোমরে ঢুকে আর বের হয়নি। গত ২০ জুলাই কারফিউ চলাকালে গাজীপুরের বড়বাড়ি জয়বাংলা সড়কে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।
ওই দিন গভীর রাতে একটি পিকআপ ভ্যানে মিনহাজুলের লাশ জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার উত্তর রামশালা গ্রামের নিজ বাড়িতে আনা হয়। পরের দিন সকাল ১০টায় গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে বাড়ির পাশে মিনহাজের লাশ দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মিনহাজ মা-বাবার একমাত্র সন্তান। মিনহাজের বাবা আবু বক্কর সরদার সাত বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। এরপর মিনহাজের মা মেরিনা বিবি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবু বক্কর পরিবারের খোঁজখবর নিতেন না। তখন মেরিনা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে উপজেলার আওয়ালগাড়ী গ্রামে তাঁর বাবার বাড়িতে চলে যান। মিনহাজ তার চাচার কাছে থাকত। প্রায় দুই বছর আগে সে গাজীপুরের বড়বাজার জয়বাংলা এলাকায় বড় খালার ভাড়া বাসায় চলে যায়।
মিনহাজ ওই এলাকার নিউ কমান্স নামে একটি গার্মেন্টসে সহকারী পদে চাকরি নেয়। প্রতি মাসে ওভারটাইমসহ ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতন পেত সে। এই টাকায় সে নিজের থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি অসুস্থ মায়ের চিকিৎসায় খরচ করত।
নিহত মিনহাজের খালু শাহ পরান বলেন, গত ২০ জুলাই সকালে বন্ধুদের ডাকে বাসা থেকে বের হয় মিনহাজ। ওই দিন দুপুরে জয়বাংলা সড়কে গুলিবিদ্ধ হয়ে সে মারা গেছে বলে খবর আসে। মিনহাজের বাঁ হাতের কনুই ভেদ করে একটি গুলি কোমরে ঢুকে আর বের হয়নি।