নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু

গণপিটুনিপ্রতীকী ছবি

নোয়াখালী সদর উপজেলায় স্থানীয় জনতার হাতে আটক এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে যৌথ বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত আটটার দিকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. আবদুস শহিদ (৪৩)। এর আগে শনিবার বিকেলে উপজেলার ১৯ নম্বর পূর্ব চর মটুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চর মটুয়া গ্রাম থেকে শহিদসহ চারজনকে গণপিটুনিতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। পরে তাঁদের জেলা সদরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যৌথ বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে পূর্ব চর মটুয়া এলাকায় শহিদ নামের এক অস্ত্রধারী ও তাঁর অপর তিন সহযোগীকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাঁদের কাছ থেকে একটি শটগান উদ্ধার করে। পরে তাঁদের গণপিটুনি দেয়। এতে তাঁরা চারজনই গুরুতর আহত হন।

গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিরা হলেন আবদুস শহিদ, মো. জামাল (৪৩), মো. জাবেদ (২৮) ও মো. রিয়াদ (২৮)।

সূত্র জানায়, অস্ত্রসহ দুর্বৃত্তদের আটক করে গণপিটুনির খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ১৬ রেজিমেন্ট আর্টিলারি ক্যাপ্টেন ইফতেখার আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে স্থানীয় জনতার হাতে আটক ওই চার ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার এবং একটি শটগান জব্দ করা হয়। যৌথ বাহিনী আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আটটার দিকে শহিদ মারা যান। অন্য তিনজন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে তাঁদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়।

ওসি জাহেদুল হক আরও জানান, নিহত শহিদের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ আটটি মামলা রয়েছে। তিনি থানা–পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।