টাঙ্গাইলে নৌকার মিছিলে গুলিবর্ষণ, থানায় মামলা
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের নৌকার প্রার্থীর মিছিলে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা তিনটায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত যুবলীগ নেতা রোকনুজ্জামানের বাবা ফজলুল রহমান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় এ মামলা করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই ঈগল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনের সমর্থক।
গতকাল রোববার রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের যুগনী গ্রামে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশীদের সমর্থকেরা মিছিল বের করেন। রাত ১১টার দিকে ওই মিছিলে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মী এমদাদুল হক ও সিয়াম গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের প্রথমে টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর রাতেই পুলিশ আবদুর রাজ্জাক ও আকাল মিয়া ওরফে আকালু নামের দুজনকে আটক করে। তাঁদের মামলার পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী মামুনুর অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে বাঘিল এলাকায় নৌকার পক্ষে তাঁর সমর্থকেরা মিছিল বের করেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনের সমর্থকেরা মিছিলে অতর্কিত গুলি চালান। মামুনুর অর রশিদ দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।
বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার কোনো নেতা-কর্মী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তাঁরা (নৌকার শিবির) নিজেরাই এই নাটক সাজিয়ে নির্বাচনে যেন ভোটাররা মাঠে না আসেন, সে পাঁয়তারা করছেন। আমার নেতা-কর্মীরা কখনোই এ ধরনের হামলা করবে না। গত কয়েক দিনে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থককে গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোসা (কার্তুজ) উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বিকেলে আহত রোকনের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলমান।