চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে গাড়ি চলবে এক মাস পর

কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দল। আজ দুপুরেছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট সেতুতে এখনই যান চলাচল শুরু হচ্ছে না। আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি চলাচলে সময় লাগবে অন্তত এক মাস। এখন পর্যন্ত সেতুর সংস্কারকাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দল। এই সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর সংস্কারকাজ শেষ করতে এক মাস সময় চেয়েছে। এতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষেরও সায় রয়েছে। পরামর্শক দল সেতুর সংস্কারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে নির্মিত হয় কালুরঘাট রেলসেতু। ১৯৬২ সালে যান চলাচল শুরু হয়। এর আগে দুবার সংস্কার করা হয়েছিল। কালুরঘাট রেলসেতুর বয়স এখন ৯৩ বছর। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুতে বড় ধরনের সংস্কারকাজের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। কাজ শুরু হয় গত বছরের ১ আগস্ট থেকে। এ জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে ৪৩ কোটি টাকার চুক্তি করে রেল।

চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অর্থছাড় জটিলতা, বৃষ্টিসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় সেতুর সংস্কারকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, পরিদর্শনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পরামর্শক দলের প্রধান সাইফুল আমিন। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন সদস্য। তাঁরা প্রথমে নগরের সিআরবিতে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর দুপুরে সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেন।

রেলওয়ের এক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, পরামর্শক দল সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সংস্কারকাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। কী কী কাজ বাকি রয়েছে এবং যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কী করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রাথমিকভাবে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আরও বিস্তারিত নির্দেশনা দেবেন।

জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুর প্রাথমিক সংস্কারকাজ শেষ করেছিলেন। তবে নানা প্রতিকূলতার কারণে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু সংস্কারকাজ শেষ করা যায়নি। এখন অবশ্য শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে সেতুর ৯৮ শতাংশ কাজই শেষ হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সেতুটি দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত করে খুলে দেওয়া হবে।