চাঁদপুরে মেঘনার মোহনায় নৌকাডুবিতে ২ নারী এখনো নিখোঁজ
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মোহনায় প্রবল ঘূর্ণি স্রোতে রাতের অন্ধকারে নৌকা ডুবে নিখোঁজ দুই নারীর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। তাঁদের একজন হচ্ছেন উম্মে হানী ফাইমা আক্তার (২৬) ও নূর মোহসীন (৩০)। এ ঘটনায় নৌকার মাঝিসহ চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটায় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চালকসহ ছয়জন ঘুরতে বেরিয়ে মেঘনার মোহনায় প্রবল স্রোতের তোড়ে মুহূর্তে সবাই নদীতে ডুবে যান। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি স্পিডবোটের চালক চারজনকে উদ্ধার করেন। তবে এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ ফাইমা আক্তারের স্বামী দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী নাইম খান (৩৫) বলেন, ‘আমাদের এক মাস আগে বিয়ে হয়। আমি আমার স্ত্রী ও আমার এক বন্ধু মাজহারুল ইসলাম (৩২), মুনিয়া আক্তারসহ (৩০) পাঁচজন সন্ধ্যার পর নদীতে নৌভ্রমণে যাই। কিন্তু নৌকাটি মেঘনার মোহনায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঘূর্ণি স্রোতে তলিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অপর একটি স্পিডবোট এসে আমাদের চারজনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
স্পিডবোটচালক নাজমুল মল্লিক বলেন, ‘আমি ওই সময় সেখান দিয়ে না এলে হয়তো কাউকে জীবিত পাওয়া যেত না। আমি আমার বোটের যাত্রীদের সহযোগিতা নিয়ে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করি।’
নিখোঁজ সেতুর ছোট বোন মিতু বলেন, ‘আমরা দুই পরিবার মিলে চাঁদপুর থেকে হাইমচর পর্যন্ত মাইকিংও করেছি কিন্তু কারও খোঁজ পায়নি।’
চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. মোসলেম মিয়াজী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে নদীতে নামি। কিন্তু প্রবল স্রোত আমাদের স্পিডবোটও ডুবে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। এ জন্য রাতে আর নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’ আজ বুধবার সকাল আটটায় আবার উদ্ধার অভিযানে নামেন ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও দুই নিখোঁজ পরিবারের লোকজন। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারও কোনো লাশ পাওয়া যায়নি।