হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে একজন নিহত

হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে আজ রোববার রিপন শীল (২৭) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। তাঁর চোখের ওপর গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তিনি শহরের ইনাতাবাদ এলাকার বাসিন্দা।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত রিপনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনরত কয়েক হাজার শিক্ষার্থী হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনে জড়ো হন। প্রায় দুই ঘণ্টা বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনে অবস্থানের পর শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়কের উত্তর দিকে চৌধুরী বাজার অভিমুখে রওনা হন। মিছিলকারীরা শহরের পৌর টাউন হলের সামনে পৌঁছালে জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হবিগঞ্জ সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসায় আশ্রয় নেন। বাসার ভেতর থেকে তাঁরা আবারও আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালালে এ সময় শহরের প্রধান সড়কে গুলিবিদ্ধ হন রিপন শীল। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, সংসদ সদস্যের বাসা থেকে ছোড়া গুলিতে এই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। নিহত রিপন শহরের ইনাতাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় নাপিত ছিলেন।

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক নাঈম আশরাফ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রিপনকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ওই সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অর্ধশত চিকিৎসা নেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে। আহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই গুলিতে আহত হন।

এদিকে আজ চার ঘণ্টা ধরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসা ঘিরে রেখেছেন। সংসদ সদস্যসহ তাঁর দলের নেতা–কর্মীরা এ বাসায় অবস্থান করছেন।