বরিশালে ‘বাংলার বাঘ’ ফাউন্ডেশনের পরিচিতি সভা, কাজ করবে অসহায় নারী ও পথশিশুদের উন্নয়নে
বরিশালে ‘বাংলার বাঘ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচিতি ও পথচলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় নগরের সদর রোডের অশ্বিনীকুমার টাউন হলে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, ‘বাংলার বাঘ ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আশা করি, সংগঠনটি বরিশালসহ সারা দেশের অসহায়, অবহেলিত হতদরিদ্র নারী, শ্রমজীবী অসহায় ব্যক্তি, পরিবার, পথশিশু ও বিপন্ন মানুষের পাশে কাজ করে যাবে।’
বাংলার বাঘখ্যাত শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের উপাধি অনুযায়ী বাংলার বাঘ ফাউন্ডেশন নামের সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর নাতনি (দৌহিত্র) এ কে ফ্লোরা। সংগঠনটির মাধ্যমে ওই অঞ্চলের অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করতে দক্ষতা উন্নয়ন, দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসহায়তা, পথশিশু, শ্রমজীবী অসহায় স্বাবলম্বী করতে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দ্রুত এগিয়ে যাবে।’
বাংলার বাঘখ্যাত শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের উপাধি অনুযায়ী বাংলার বাঘ ফাউন্ডেশন নামের সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর নাতনি (দৌহিত্র) এ কে ফ্লোরা। সংগঠনটির মাধ্যমে ওই অঞ্চলের অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করতে দক্ষতা উন্নয়ন, দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসহায়তা, পথশিশু, শ্রমজীবী অসহায় স্বাবলম্বী করতে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্রের স্বামী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী চিকিৎসক সাহেদ ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আমার সহধর্মিণী এ কে ফ্লোরা বাংলার বাঘ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অসহায়–অবহেলিত মানুষের জন্য আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চান। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা এ কাজের অংশীজন হিসেবে সব সময় পাশে থাকবেন।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা এ কে ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘আমি এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র হিসেবে পরিচিত হতে চাই না। আমি অসহায়–হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, পথশিশু ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের জন্য কিছু করে নিজের পরিচয়ে পরিচিত হতে চাই। আমি আমেরিকা থেকে ফিরে নগরের পলাশপুর, বঙ্গবন্ধু কলোনি, কেডিসি বালুর মাঠসহ বিভিন্ন এলাকার অসহায়–অবহেলিত মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি।’
ফাউন্ডেশনটির স্বেচ্ছাসেবকেরা জানান, সম্প্রতি এটির কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই মধ্যে তীব্র দাবদাহে পথচারীদের পানি, স্যালাইন ও ক্যাপ বিতরণ করে নগরে সাড়া ফেলেছে সংগঠনটি। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।