বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে দুই বন্ধু

সড়ক দুর্ঘটনাপ্রতীকী ছবি

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মালবাহী ট্রলির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মুলাদী-বরিশাল মহাসড়কের কাজিরচর ইউনিয়নের চরকমিশনার বাদামতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন পাশের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া গ্রামের রাজ্জাক মাতুব্বরের ছেলে হুমায়ুন কবির (৪০) এবং একই এলাকার তাজুল মাস্টারের ছেলে কামাল মোল্লা (৪০)। তাঁরা দুজন বন্ধু। তাঁদের মধ্যে হুমায়ুন বরিশালে বেসরকারি সংস্থা ‘আশা’য় চাকরি করতেন।

এর আগে গত শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মুলাদী উপজেলার পেয়াদারহাট-সংলগ্ন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মো. ফরহাদ হোসেন (৫৩) নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উপসচিব নিহত হন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১) উপসচিব হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ফরহাদের গ্রামের বাড়ি মুলাদী সদর ইউনিয়নের চর লক্ষ্মীপুর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মরহুম মাওলানা আবদুল কাদেরের ছেলে। তিনি শুক্রবার বিকেলে মীরগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে একটি মাহিন্দ্রায় (তিন চাকার যান) যাত্রী হয়ে মুলাদী সদরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। মাহিন্দ্রাটি পেয়াদারহাট পার হয়ে হাওলাদার সেতুর কাছাকাছি পৌঁছালে একটি কুকুর হঠাৎ সেটির সামনে পড়ে। এ সময় চালক হঠাৎ ব্রেক কষলে যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। চালকের যে পাশে উপসচিব বসা ছিলেন, সেদিকেই যানটি উল্টে যায়। এতে উপসচিব মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুলাদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম জানান, গতকাল বিকেলে নিহত হুমায়ুন ও কামাল দুই বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে হিজলা থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে বিপরীত দিক থেকে আসা ইট বহনকারী ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী গুরুতর আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।