টানা তিন দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়
ফাইল ছবি

হেমন্তের শেষ দিকে এসে দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। টানা তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কুয়াশার পরিমাণ কম থাকায় সকাল সকাল দেখা মিলছে ঝলমলে রোদের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার পরিমাণ কম থাকায় সকাল সকাল দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের। এর আগে গতকাল সোমবার সকালে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এবার হেমন্তের শুরু থেকেই উত্তরের এই জনপদে শুরু হয়েছিল শীতের আবহ। বর্তমানে দিনভর ঝলমলে রোদ থাকায় দিনে গরম অনুভূত হলেও বিকেল হতে না হতেই শুরু হচ্ছে শীতের অনুভূতি। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকায় দিনের বেলা রোদের কারণে দিন ও রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে বেশ পার্থক্যের সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগে গতকাল বিকেলে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

হিমালয়ের কোল ঘেঁষে অবস্থিত পঞ্চগড় জেলায় প্রতিবছরই শীত আসে কিছুটা আগেভাগে। আর শীত বিদায়ও নেয় কিছুটা দেরিতে। শীতের এই মৌসুমে হিমালয় থেকে বয়ে আসা উত্তরের বাতাসে শীতল হয়ে যায় পুরো জেলা। বর্তমানে হেমন্তের শেষ দিকে এসেই এই জেলার বাসিন্দাদের সন্ধ্যা নামলে পরতে হচ্ছে শীতের কাপড়। এমনকি রাতে ঘুমাতে হচ্ছে লেপ-কম্বল মুড়িয়ে। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে শীতের অনূভূতি।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে তেঁতুলিয়ার আকাশে মেঘ আর কুয়াশার পরিমাণ একেবারেই কম। কুয়াশার পরিমাণ কমে গেলে উত্তরের হিমেল বাতাসে কমে যায় তাপমাত্রা। তবে দিনের বেলা রোদ থাকায় দিন ও রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে একটি লঘুচাপের কারণে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আকাশে হালকা মেঘ জমতে পারে। এতে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে এই এলাকায় দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।