গৃহবধূর ওড়নায় ঝুলে ছিল স্বামীর লাশ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার শোবার ঘরে গৃহবধূর ওড়নার সঙ্গে ঝুলে ছিল স্বামীর লাশ। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কেওয়া পূর্ব খণ্ড এলাকায় ভাড়া বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়িটির মালিকের নাম ইসরাফিল।
লাশ উদ্ধার হওয়া তরুণের নাম রাসেল মোল্লা (২৫)। তিনি নেত্রকোনা সদর উপজেলার হরিদাসপুর কাকিয়াকুড়ি গ্রামের মো. কাদের বেগের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, রাসেল মোল্লা ছয় মাস ধরে ইসরাফিলের বাড়িতে স্ত্রী হাসি বেগমকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। হাসি একটি কারখানায় চাকরি করতেন। কিছুদিন আগে স্বামীকে ফেলে বাবার বাড়ি চলে যান স্ত্রী। শুক্রবার ঘটনার সময় রাসেলের স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির অন্যান্য লোকজন খোঁজ নিতে গিয়ে রাসেলের থাকার ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকি করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে শ্রীপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে স্ত্রীর ওড়নায় ঝুলন্ত অবস্থায় রাসেলের লাশ উদ্ধার করে।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাসেল দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। স্ত্রীর সঙ্গে রাসেলের মনোমালিন্য চলছিল। স্থানীয় একটি কারখানায় তাঁর স্ত্রী চাকরি করলেও তিনি নিজে কিছুই করতেন না। সংসারে যথেষ্ট অভাব-অনটন ছিল। প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। কয়েক দিন আগে স্ত্রী চাকরি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর থেকে রাসেল সেখানে একাই ছিলেন।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল হোসেন মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে মান-অভিমান করে রাসেল মোল্লা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।